সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, কুরআনের পাখি হাফিজগণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। হাফিজদেরকে আরো সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করলে মেধা বিকাশের মাধ্যমে তারা আরো এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে সিলেটের শিক্ষার্থীরা পরাজিত হয়না। বিজয় অর্জন করে তারা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনে। তিনি বাংলাদেশ সৌদি দুতাবাসের হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাছাই পর্বে বিজয়ী হাফিজদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো দক্ষ করে গড়ে তোলে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাজ করার আহবান জানান।
মেয়র আরিফ গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে সিলেট নগরীর উপশহরস্থ একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ সৌদি দুতাবাস আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সিলেট বিভাগের বাছাই পর্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সৌদি দুতাবাসের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি শাইখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান মাদানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ আজিজুল করিম। হাফিজ রশিদ আহমদ, হাফিজ আবু সুফিয়ান ও মুস্তাফিজুর রহমান এর যৌথ পরিচালনায় শিক্ষক ও অভিভাবকগণ অনুভুতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সৌদি দুতাবাস আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন শাইখ বদরুদ্দিন বিন ইসহাক মাদানী, শাইখ হাফিজ মিফতাহুদ্দীন আহমদ, শাইখ মামুনুর রশীদ মাদানী।
জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১৫ পারা গ্রুপে ৫ জন, ৩০ পারা গ্রুপে ৫ জন নির্বাচিত হয়ে ইয়েস কার্ড পেয়েছেন। প্রতিযোগিতায় সিলেট বিভাগের মোট ৫০ জন হাফিজ অংশ গ্রহণ করেন। নির্বাচিত ১০ জন হাফিজ জাতীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহণ করবেন। বিজ্ঞপ্তি