ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন সর্বমহলে। এছাড়াও সব সময় বিভিন্ন লড়াই আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন প্রথম সারিতে। শুধু তাই নয় করোনা মহামারীতেও দেশের ক্রান্তিলগ্নে অসহায়ের্ সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। করোনা মহামারীর সময়ে লাশ দাফন কাফন কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। বলছিলাম গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী ও গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো: নাইমুন হাসান নাঈম এর কথা। সাম্প্রতিক কালে জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশে গলাচিপা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন নাঈম। এরপর থেকে তাকে নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে একটি কুচক্রী মহল। কুচক্রী মহলটি মিথ্যা বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিভিন্ন অখ্যাত সংবাদ মাধ্যমে, অনলাইন পোর্টালে, ফেইসবুকে সংবাদ প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, যড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তার অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতা বানানোকে কেন্দ্র করে বিভিন্নভাবে ছাত্রলীগের ত্যাগী পরিশ্রমী নেতাদের জামাত- বিএনপি-ছাত্রদল ট্যাগ দিয়ে অভিযোগ তুলছে ওই চক্রটি। সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে আসন্ন কমিটি ঘিরে আলোচিত জনপ্রিয় নেতাদের ঠেকাতে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারে মেতে উঠেছে তারা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্ন তথ্য ফেসবুকে ভাইরাল করে গলাচিপা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে আলোচিত এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে জামাত, বিএনপি ও ছাত্রদল পরিবারের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন অখ্যাত সংবাদ মাধ্যমের কাছে পাঠানো হচ্ছে এসব তথ্য প্রকাশের জন্য । যার যোথাযোগ্য কোন তথ্য-উপাত্ত, দালিলিক প্রমাণ নেই প্রকাশিত সংবাদ গুলোতে। একটি সংবাদে দেখা যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতা সাইদুর রহমান সাঈদ এর ছোট ভাই উল্লেখ করে নাইমুন হাসান নাঈমের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু প্রকাশিত সংবাদে কারো কোন অভিযোগ, বক্তব্য উল্লেখ করেনি। জানা যায় সাঈদ ও নাঈম তাদের বাবা একজন হলেও মা ভিন্ন এবং পরিবারও ভিন্ন। সাইদুর রহমান সাঈদ এর মায়ের নাম সাজেদা বেগম অন্যদিকে নাঈমের মায়ের নাম মোসা: ফজিলাতুন্নেছা। তাদের একে-অপরের পরিবারের মধ্যে কোন যোগাযোগ কিংবা পারিবারিক সম্পর্ক নেই। তাছাড়া জামাত, বিএনপি, ছাত্রদলের মিছিল মিটিং বা কোন কর্মসূচীতে নাঈম ও তার বাবা নয়া মিয়া মাস্টারকে কখনো অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে এমন কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মো: নাইমুন হাসান নাঈম বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে বহু অপপ্রচার হয়েছে। এটা স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহলের বহু পুরনো অপকৌশল। মতের অমিল কিংবা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, ব্যক্তি স্বার্থে জামাত-বিএনপি ট্যাগ দিয়ে অপপ্রচার চালানো হয় ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। অতীতে বিভিন্নজনের নামে এমন মিথ্যা, ভুয়া, ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়েছে চক্রটি। নতুন কমিটিকে সামনে রেখে তাই হঠাৎ করে এই অপচেষ্টা যেনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার অপপ্রয়াস। আমি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের একজন কর্মী। অন্য কোন দলের সাথে আমার সম্পৃক্তা নেই। তিনি বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু প্রতিহিংসার রাজনীতি যেন না থাকে। আমি এবং আমার পরিবার বিএনপি, জামাতের সাথে জড়িত নয়। সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আমার বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত বিহীন অসত্য সংবাদ না প্রচার করার। এছাড়া প্রচারিত মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এবিষয়ে নাইমুন হাসান নাঈমের বাবা নয়া মিয়া বলেন, আমি গলাচিপা উপজেলার পূর্ব রতনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত না থাকলেও আমরা আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক। আমার দুই পরিবারের দুই ছেলে। প্রথম স্ত্রীর ছেলে সাঈদ ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে নাঈম। কিন্তু তাদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ ও পারিবারিকভাবে কোন সম্পর্ক নেই। তাদের সাথে পারিবারিকবাবে দ্বন্দ্ব চলমান। সাঈদ ব্যক্তিগত ইচ্ছায় ছাত্রদল করে এটা তার ইচ্ছে। আমি ও আমার ছেলে নাঈম জামাত, বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত না কোনদিন কোন সভা, মিছিলেও যাইনি। ছোটবেলা থেকে নাঈম ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু যারা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা ষড়যন্ত্র করছে উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে।
সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, আমি ছাত্রদলের রাজনীতি করি এটা আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছে। নাঈম ছাত্রলীগের রাজনীতি করে। আর আমার বাবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না।