দীর্ঘ অনেক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলেন আব্দুল কাদির (৬০)। তিনি জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান চৌদ্দ বছর বয়সে চট্টগ্রাম। বছরের পর বছর যায় তবুও তাঁহার হয়নি বাড়ি ফেরা। দিনের পর দিন রাস্তায় ঘুরে হয়ে পড়েন মানসিক ভারসাম্যহীন। পয়ঁত্রিশ বছর পর যখন ট্রেনের মাধ্যমে তিনি সিলেট আসেন তখন তিনি হেটেঁ হেটেঁ আসেন সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার তাজপুরে। শীতের রাতে যখন তিনি শীতে বিবস্র তখন নিজের শরীরে পড়া কাপড় জ্বালিয়ে দিয়ে আগুনের তাপ গ্রহন করতে থাকেন। হঠাৎ অনলাইন মিডিয়া (মায়ার টিভি’র) সরাসরি সম্প্রচারে ওসমানী নগর অনলাইন প্রেসক্লাবের কলাকৌশলিদের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক কম্বল নিয়ে উপস্থিত হন সভাপতি-সম্পাদক সহ প্রেসক্লাবের সকল নেতৃবৃন্দ। তাৎক্ষণিক লাইভের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া আব্দুল কাদিরকে বাসা কোথায় জিজ্ঞেস করলে উত্তরে সে বলে “আমার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নে।
সাথে সাথে সুজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বদরুল ইসলামের অধীনে নিয়ে যাওয়া হয় আব্দুল কাদিরকে।
আজ ১০ ডিসেম্বর রবিবার আব্দুল কাদির নামক কুড়িয়ে পাওয়া ব্যাক্তিকে তাহার স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করেন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা সুজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম এবং ইউনিয়নের সদস্যগণ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বদরুল ইসলাম, ওসমানীনগর উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি শেখ ফয়ছল আহমদ, অর্থ সম্পাদক শরীফ আহমদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ মালিক, কিবরিয়া আহমেদ, হারুন মিয়া, শোয়েব আহমদ, উপস্থিত ছিলেন ইমরুল ইসলাম সভাপতি সুজানগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, ফখরুল ইসলাম প্যানেল চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য ৩নং ওয়ার্ড,মখতার আলী ইউপি সদস্য ৪নং ওয়ার্ড, জবরুল ইসলাম ইউপি সদস্য ৬ নং ওয়ার্ড, নজম উদ্দিন ইউপি সদস্য ৭ নং ওয়ার্ড,
শাহিদ আহমদ ইউপি সদস্য ৯ নং ওয়ার্ড, কুড়িয়ে পাওয়া ব্যাক্তির বড় ভাই, নেওর আলী সহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যাক্তিগণ।
আব্দুল কাদিরের পরিবারের সদস্যরা জানান- আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমরা আমাদের সেই ভাইকে ফিরে পেয়েছি এবং কৃতজ্ঞতা জানাই বদরুল ইসলাম চেয়ারম্যান এবং ওসমানী নগর অনলাইন প্রেসক্লাবকে।