সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের নিয়াতমপুর গ্রামের ভোটকেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হওয়ার কারণে এক আওয়ামীলীগ কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে গুরুতর আহত করেছে স্থানীয় কিছু বিএনপির নেতাকর্মীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ই জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮টায়। আহত ব্যাক্তির নাম মোঃ তমজিদ আলী(৪৫)। তিনি ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় এই আওয়ামীলীগের কর্মী ও নৌকার এজেন্ট তমজিদ আলী রাতে বাজার করতে স্থানীয় নিয়ামতপুর বাজারে এসে একটি দোকানঘরে ঢুকে বাজার করছিলেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতা মোঃ আয়না মিয়ার নেতৃত্বে তার ভাগিনা আশিক মিয়া,আবু তাহের,ভাতিজা নুর,বড়ভাই আপ্তা মিয়া,বাছির মিয়াসহ ১০/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র লোহার রড,রামদা নিয়ে দোকানঘরে ঢুকে আয়না মিয়া এই আওয়ামীলীগ কর্মীকে বলতে থাকে তোকে বার বার নিষেধ করার পরও তুই কেন নৌকার এজেন্ট হলে এবং ভোটারদের এনে ভোটকেন্দ্রে নৌকা ভোট দিতে গেলে। তুই জানিস না বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এবং আমরা যারা নেতাকর্মীরা আছি এই ডামি নির্বাচন প্রত্যাখান করেছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বারণ করেছি,তারপরেও তুই কেন এজেন্ট হলে এবং গ্রাম থেকে সহজ সরল মানুষদেরকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে নৌকায় ভোট দেয়ার চেষ্টা করলে। এমন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাবেক ইউপি সদস্য ময়না মিয়ার নেতৃত্বে তার লোকজন নৌকার এজেন্ট তমজিদ মিয়াকে টেনে হেছঁড়ে দোকান ঘর থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে বেদড়ক পিঠিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকার শুনে স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। নিয়ামতপুর গ্রামের ময়না মিয়ার প্রভাব এবং লাঠিসোটা বেশী থাকার কারণে বিভিন্ন সময় তার অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ গ্রামসহ আশপাশের লোকজন। তারপরে তার ভয়ে কেহ মুখ খুলতে সাহস পান না এমন অভিযোগ স্থানীয় একাধিক লোকজনের। এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আয়না মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ খালেদ চৌধুরী জানান,ভোট নিয়ে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি হলো জমিজমা নিয়ে পূর্ববিরোধ থেকেই এমন মারামারির ঘটনা ঘটেছে।