সুনামগঞ্জের ছাতকে চরমহল্লা ইউপির হাজী আব্দুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মোশতাক আহমেদ এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতি স্বাক্ষর জাল- জালিয়াতি করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ঘটনার তদন্তের সত্যতার প্রমান মিলছে। এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের ফাঁকিবাজ প্রধান শিক্ষক ধরা পড়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ঘটনাটি বিভিন্নখাতে নেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে তৎপরতা চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক । গত ৭ই অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী বরাবরে গ্রামের সিরাজুল হক,শিক্ষাথী আদনান সানী,মইন উদ্দিন ও শিউলী বেগম বাদী হয়ে পৃথক ৪টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ অভিযোগের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গত ১৯শে নভেম্বর সরজমিনে তদন্ত কার্যত্রুম শুরু করেন। গত ১০ই ডিসেম্বর পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাষাবাদ করেন এবং কিছু প্রমানদি সংগ্রহ করেছেন তদন্ত কমিটি।
জানা যায়, উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের হাজী
আব্দুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয়ে অগ্রনী ব্যাংক একাউন্টের স্টেইটমেন্টএ দেখা গেছে ২০১৫ সাল ১৫ই সেপ্টেম্বর ও ২০২৪ সালে ৩০শে জুন ১০লাখ ৭১হাজার ৩০টাকা জমা হয়। বিভিন্ন সময়ে ৮লাখ ৬হাজার ৩৩টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক। ব্যাংকে আছে মাত্র এক লাখ টাকা।২০২৪ সালে ২০২৩ ও ২৪ অর্থবছরের অডিট কমিটি গঠন হয়। ৪ সদস্য অডিট কমিটি হিসাবে প্রধান শিক্ষক মোশতাক আহমদ এর বিরুদ্ধে ২ লাখ ৬০ হাজার ২০৩টাকা পাওনা আছে বিদ্যালয়ের।
বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ভর্তি ফিসের টাকা আদায় করে এসব টাকার হিসাব খাতায় জমা না দিয়ে প্রধান শিক্ষক তার নিজ পকেটে রেখে দিয়েছে । এছাড়াও বিভিন্ন পন্তায় ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সিকিউরিটি নামে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায়সহ বিভিন্ন খাতের প্রায় ১৫ লাখ টাকা হিসাবের গড়মিল রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর থাকলে রেজুলেশনসহ অন্যান্য স্বাক্ষরের সঙ্গে তার স্বাক্ষরের কোনো মিল নেই।
তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকেই বিদ্যালয়ের আয় ব্যায় হিসাব না দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য
মুহিবুর রহমান মানিকের আত্নীয় পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হামলা মামলা ভয়ভীতি দেখান।সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত রয়েছে। বিদ্যালয় হাজিরা না দিয়ে মাসের পর মাস বেতন ভাতা উত্তোলন করেছে। এসব ঘটনায় গত ২ মার্চ প্রধান শিক্ষক মোশতাক আহমেদ এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম দুর্নীতি ,শৃঙ্খলা পরিপন্তি ও দায়িত্বে অবহেলার সম্পৃক্ততা রয়েছে এই মর্মে উল্লেখ্য করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট প্রেরন করেছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে মোঃ তরিকুল ইসলাম এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দায়িত্ব অবহেলার সম্পৃক্ততার ঘটনা সত্যতার প্রমান মিলছে।