বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন সিলেট মহানগর ব্যাটারি চালিত রিক্সা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান মৌলভীবাজার জেলা “বধির কল্যাণ সংস্থা”এর কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন মহিলা ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা সিলেটের কার্যালয় পরিদর্শন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন সুনামগঞ্জের হাওর ও নদীগুলো খননের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি করে কৃষকদের বোরো ফসল রক্ষার জন্য ৭ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সিলেট বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন হাওরে ধান কাটার যন্ত্র বিতরণ নিয়ে প্রতারণা ভর্তুকির অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাত করে এক যন্ত্র বিতরণ করা হলো দুইজনের নামে সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির টহল টিমের ওপর হামলার, অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা

ছাতকে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ছদ্মবেশে ইউএনও

অজিত কুমার দাশ,ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের ছাতক পাবলিক খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে ইজারাদারের লোককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। । গত শনিবার (১২এপ্রিল) বিকালে ছদ্মবেশে খেয়াঘাটে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম। নির্ধারিত পাঁচ টাকার পরিবর্তে যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয়রা বিষয়টিকে ‘নীরব চাঁদাবাজি’ বলে অভিহিত করছেন।

জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খেয়াঘাটে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় খেয়াঘাটের অর্থ আদায়কারী পৌর শহরের নোয়ারাই গ্রামের সাবাজ আলীর ছেলে শাহেদ মিয়া (৪২) কে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন এবং খেয়াঘাটে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টানানোর নির্দেশ দেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দিনে ১০ টাকা নিলেও রাতে তা বেড়ে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ পর্যন্ত নেওয়া হয়। তবে সাধারণ মানুষ মান-সম্মানের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছেন না। প্রতিদিন প্রায় সহস্র যাত্রী এই পথে পারাপার হন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে দিনে প্রায় পাচ হাজার, মাসে দেড় লক্ষ এবং বছরে প্রায় ১৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয় ইজারাদার সজিব চৌধুরী বলেন, খেয়াঘাট পারাপারে ৩টি নৌকা চলাচল করে। জেলা পরিষদ নির্ধারিত ৫টাকা করে ভারা আদায় করা হচ্ছে। খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয় না। অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যপারে আমাদের জানা ছিলও না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং বলেন জনস্বার্থে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা