সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার হাওরাঞ্চলে চলছে বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। হাওরের বাতাসে দুলছে কৃষকের পাকা ধানের সোনালি শীষ। এ দৃশ্য এখন উপজেলার প্রতিটি হাওরে।
কৃষকরা ধান কেটে মাঠেই মাড়াই করে রোদে শুকাতে শুরু করেছেন। ভারি বর্ষণ ও আগাম বন্যার শঙ্কা না থাকায় স্বস্তিতেই সোনার ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
এ বছর হাওরে ধানের ফলন ও দাম ভালো থাকায় খুশি হাওর পাড়ের প্রতিটি কৃষক পরিবার। ছাতক উপজেলায় অর্ধশতাধিক ছোট বড় মাঝারী হাওর রয়েছে। এসব হাওরে কৃষকরা আনন্দের সঙ্গে ধান কেটে মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সঙ্গে কৃষাণীরাও বসে নেই। তারাও মনের আনন্দে ধান শুকিয়ে গোলায় তোলার কাজে সাহায্য করছেন। অন্যদিকে গবাদি পশুর খাদ্য খড় শুকাতে ব্যস্ত কৃষক। শ্রমিকের পাশাপাশি সমতলে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে কম খরচে ও দ্রুত ধান কাটতে পেরে এবং ধানের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।
বোরো ফসলের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা একদিকে যেমন আনন্দিত, তেমনি অন্যদিকে বৃষ্টি ও আবহাওয়া নিয়ে উৎকণ্ঠিত। বিশেষত বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার কাজ চলমান রয়েছে।
উপজেলার কামরাঙ্গীঁ গ্রামের কৃষক সুরত মিয়া জানান, ” কামরাঙ্গী হাওরে ফসল কাটা পুরোদমে শেষ হয়েছে। তবে অনেক হাওরে কয়েকদিনে ভিতরে ধান কাটা শেষ হবে যাবে। কৃষক পরিবারগুলো বিশাল এ কর্মজজ্ঞে ব্যস্ত সময় পার করছে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহ থেকে উপজেলাজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে, ফলে ফসল সংরক্ষণের কাজে কিছুটা বাধা তৈরি হচ্ছিল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান বলেন, “এ বছর উপজেলায় ১১ হাজার ৯৯৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদে ৯৬% ৩২’শ ৩৭ হেক্টর বোরো কর্তন ও নন বোরো অংশে ৭৪%, ১১ হাজার ১শত ৪২ হেক্টর জমি কর্তন হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়ার অবস্থা খুব ভালো,কৃষকেরা ভালোভাবে ধান শুকাতে পারছে। গত সাপ্তাহ বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু জায়গায় ধান কর্তন কাজ কিছুটা বিঘ্নিত হলেও, আমরা আশাকরছি আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্ত ধান কর্তন করতে সক্ষম হবো।”
তিনি আরো বলেন, ” মধ্যবর্তী কিছু সময় ভারী বর্ষণ ও বন্যার শঙ্কা থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমরা সবাই মাঠ পর্যায়ে গিয়ে সকল কৃষকদের কে দ্রুত ধান কাটার নির্দেশ দেই।